Saidur Trainer 2 years ago |
ব্যস্ত জীবনে মানুষের যৌবনকাল ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকের যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে ভুল পথে পা বাড়িয়ে দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে যা পরবর্তী জীবন বিষাক্ত হয়ে উঠে। যৌনজীবনকে হেলাফেলা করা উচিত নয়। বর্তমান জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের যৌনজীবনে শিথিলতা চলে আসে। অনেক সময় তা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে। কখনও কখনও আবার ইচ্ছা থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার অভাবে সঙ্গমে ভাঁটা পড়ে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি থাকে এমন কিছু খাওয়ার যার মধ্যে রয়েছে জিনসিনোসাইড, তাহলে আপনার জীবনে ফিরে আসতে পারে যৌবন।
কিন্তু জানেন কি, এমন একটা সবজি রয়েছে যা আমাদের যৌন ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে! এই সবজি প্রায় সকলের রান্নাঘরেই থাকে সেটা হলো পেঁয়াজ। মানুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে পেঁয়াজ। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ পেঁয়াজ ও এক চামচ আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দিনে তিনবার। আপনার যৌন ইচ্ছা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
পেঁয়াজ মশলা জাতীয় লিলি গোত্রের উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম 'অ্যালিয়াম সিপা'। একটি বড় পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। রয়েছে খাদ্য আঁশ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি ও সি। অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লোহা, ফোটা, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস কোরাসিটিন এবং সালফারও রয়েছে পেঁয়াজে। তাই প্রতিদিন ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁয়াজের রস টেস্টোস্টেরন হরমনের ক্ষরণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সঙ্গমের ইচ্ছা বা স্ফুর্তিও অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। হরমোন বিশেষজ্ঞ এলিসা ভিটির মতে, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে পেঁয়াজের রস খেতে পারলে তা আমাদের কামেচ্ছা বাড়িয়ে তোলে, সক্রিয় করে তোলে আমাদের যৌনাঙ্গকে।
পুরুষদের লিঙ্গোত্থানের সমস্যা দূর করতে পারে কাঁচা পেঁয়াজ। এ ছাড়াও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রজনন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মোকাবিলা করতে রোজ পাতে রাখতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ কুচি সামান্য মাখনে ভেজে মধু দিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারলে আমাদের যৌন ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন। এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন। এটির নিয়্মতি ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে।
প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে পেঁয়াজের রস খেলে যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এভাবে নিয়মিত খেলে যৌন ক্ষমতা প্রায় অনেকগুণ বেড়ে যায়। যারা পেঁয়াজের রস খেতে পছন্দ করেন না তারা খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলেও উপকার পাবেন।
ফাইবার এবং প্রি-বায়োটিকের উৎস পেঁয়াজ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই সময়, যখন চারদিকে নানা রকম ভাইরাসের প্রকোপ এত বেশি। এই সব ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ভিতর থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ পেঁয়াজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পেঁয়াজ, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চিকিৎসকরাও অনেক সময়ে পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেঁয়াজে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন ই-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভাবে উপকারী।
ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে কাঁচা পেঁয়াজে। এই যৌগগুলি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া, বলিরেখার সমস্যা, ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে।
হাড় ভালো রাখতে ও পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম ।প্রতিদিন একটি করে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অ্যাথেরসক্লেরোসিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো কাজ দেয় ।নিয়মিত ডায়েটে কিছু পরিমাণ কাঁচা পেঁয়াজ রাখলে পেঁয়াজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ডিএনএ কে ক্যানসারের আক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে । সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজের রস টেস্ট টিউবের টিউমার সেলকে ধ্বংস করে ।
Alert message goes here